তাড়াইলে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় চালুর অপেক্ষায় সেতু

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
জানা গেছে, বহ্নি নামে একটি মাত্র নদী হাজার বছর ধরে পৃথক করে রেখেছিল দক্ষিনাঞ্চলে অবস্থিত কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল এবং উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলাসহ দক্ষিণ-উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ অধিবাসীকে।

শুকনো মৌসুমে ফেরি নৌকায় এ নদী পার হতে ১৫ মিনিট এবং বর্ষাকালে অন্তত ৩০ মিনিট সময় ব্যয় হয়ে থাকে। শুধু মোটরসাইকেল নৌকা যোগে কোনো রকমে পারাপার করলেও ভারি যানবাহন পারাপার সম্ভব না হওয়ায় ধান-চালসহ যাবতীয় কৃষি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে অন্তহীন বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে বৃহত্তর হাওরাঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠীকে ।

অন্যদিকে বহ্নি নদীতে পাকা সেতু না থাকায় যাতায়াত ও পরিবহন সুবিধার জন্য ট্রাক-বাস, মাইক্রো ও প্রাইভেট কার গুলোকে অন্তত ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে এ দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। কৃষি প্রধান এ দু’টি জেলার অধিবাসীদের যাতায়াত ও পরিবহন ক্ষেত্রের এমন মধ্যযুগীয় জীবন ব্যবস্থাকে বিশেষ বিবেচনায় এনে সরকার পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল এবং নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে প্রবাহিত ধলা ও ফতেহপুরে বহ্নি নদীর ওপর ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ১৪০ মিটার দৈর্ঘ্য পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজি ইডি)’র তত্ত্বাবধানে প্রায় ৬ মাস আগে এ মূল সেতু নির্মাণ এবং নেত্রকোনা জেলার ফতেহপুর প্রান্তের এপ্রোচ রোডের কাজ সম্পন্নও হয়। কিন্তু ; ০২ দশমিক ৪৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল ধলা প্রান্তের মাটি ভরাট ও এপ্রোচ রোডের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। এ কারণে সেতুটি জনসাধারণের চলাচল এবং পরিবহন ব্যবস্থার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বরং ; দক্ষিণ পাশের এমন অবস্থার কারণে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার সেতুটি এখন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কেননা, উত্তর প্রান্ত থেকে এমন পরিপাটি নদী সেতুপথ থাকায় স্থানীয় শিশু-কিশোররা সেতুতে উঠে খালি জায়গায় লাফিয়ে পড়ার কারণে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের এখানে প্রস্তাব প্রেরণ করার প্রেক্ষিতে চার ধারা নোটিশ জারি হয়েছে এবং শুনানি শেষে খুব দ্রুত জায়গা বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করার আশ^াস দেন তিনি।

Share.