স্টাফ রিপোর্টারঃ
৮ বছর আগে কিশোরগঞ্জ সদরের যশোদল মধুনগর এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান (৩২) সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় অষ্টগ্রাম উপজেলার খান ঠাকুর দিঘীরপাড় এলাকার সিজিল মিয়ার মেয়ে উর্মি আক্তার (২৯)। বর্তমানে তাদের পরিবারে ৬বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় মিলিয়ে মোট চার লাখ টাকা যৌতুক দেয় উর্মি আক্তারের বাবা সিজিল মিয়া। এরপর প্রায় সময় যৌতুকের জন্য উর্মিকে চাপ সৃষ্টি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এরই জেরে গত ১৭ জানুয়ারি দুপুরে শারীরিক নির্যাতনের পর গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূ উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের জেলা পাবলিক লাইব্রেরির হলরুমে গৃহবধূ উর্মি হত্যার বিচার ও মামলা রেকর্ডভূক্ত করার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নিহত গৃহবধূর পিতা সিজিল মিয়া।
তিনি আরো বলেন, উর্মি নিহত হওয়ার পর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে। সেখানে ময়নাতদন্তের পর লাশ দাফন করে ১৮ জানুয়ারি উর্মির স্বামী মোঃ জিল্লুর রহমান (৩২) দেবর আফজাল মিয়া (২৮) শ^াশুড়ি মোছাঃ সাহেরা খাতুন (৫৫) নিহত উর্মির জ্যা- মোছাঃ জুমুর আক্তার (২২) ও চাচাতো দেবর মোঃ তামিমকে অভিযুক্ত করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ। দ্রুত মামলা রেকর্ড ও হত্যার বিচারের দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে না আসা পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়।