কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বাগপাড়া গ্রামের এক গৃহবধূ সৎ দেবরের কু- প্রস্তাব আর মারধরের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ছাড়া রয়েছে। ইয়াবা ও আদম ব্যবসায়ী দেবরের অত্যাচার ও কু- প্রস্তাব থেকে রেহাই পেতে বাড়ি ছাড়া পরিবারটি বিচারের আশায় এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
থানায় অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাগপাড়া গ্রামের মোঃ মুর্শিদ মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার (৩২) কে দীর্ঘ দিন ধরে কু- প্রস্তাব দিয়ে আসছে সৎ দেবর দেওয়ান মিয়া (৩০)। স্বামী সহজ সরল হওয়ায় ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ এর কোন সুরাহা করতে না পারায় দিন দিন দেওয়ানের অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৫ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় দেওয়ান মিয়া ও তার ভাই রাসেল মিয়া (২৫) মুর্শিদ মিয়ার ঘরে দেশীয় অস্ত্রাদী নিয়ে প্রবেশ করে ঝর্ণা বেগম ও তার সন্তানদের শারিরীক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে গেইটে তালা লাগিয়ে দেয়। এর পর থেকে অন্যের বাড়িতে আশ্রায় নিয়ে আছে ঝর্ণা বেগম ও তার স্বামী- সন্তান।
শুধু এতেই ক্ষান্ত হয়নি দেওয়ান মিয়া। একাধিকবার ঝর্ণার আশ্রয় নেওয়া বাড়িতে গিয়ে কু- প্রস্তাব সহ প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে আসছে বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় গত ৮ ফেব্রুয়ারী রাতে থানায় একটি অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। তিনি বলেন, আমাকে নানা সময় নানা ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে সৎ দেবর দেওয়ান। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জোর পূর্বক বাড়ি দখল করে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে দেওয়ান আর রাসেল। বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তারা গেইটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তারা এখন আমার ঘরে ইয়াবা বেচা- কেনাসহ আদম কারবারীর অফিস দিয়েছে। আমার স্বামী সহজ সরল আর নীরিহ হওয়ায় দিন দিন তাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, কিছুদিন আগে দেওয়ান আর রাসেল তার গ্রামের এক ছেলেকে রড় দিয়ে পিটিয়ে পা ও মুখ ভেঙ্গে দিয়েছে। তারা উশৃঙ্খল লোক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিয়োগ খতিয়ে দেখে তার ওপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।