আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৯টার দিকে পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ মাঠে নির্মিত শহীদ মিনারে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ জুয়েল। পরে একে একে পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) তানিয়া আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা নূর এ আলম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সারওয়ার জাহানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মো. শারফুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এমপি নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, স্বাধীনতা একটা জাতির জন্য বড় অর্জন, একটা বড় ঘটনা। আর এই স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ। তাই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা এ বিষয়ে জানতে পারে। আর এ কাজটি করার জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান তিনি।
এছাড়াও স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা, স্থানীয় সকল ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।