স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ হাওরাঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত ৭৮ টি জেলে পরিবারের মধ্যে ২৬টি ফাইবার গ্লাস বোট দিয়েছে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)। বুধবার (২৫ মে) দুপুরে উপজেলার সুতারপাড় ইউনিয়নের বালিখোলা ঘাটে ৭৮টি জেলেদের মাঝে এসব বোট বিতরণ করা হয়।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট এরিয়া ম্যানেজার মো. আব্দুর রউফ জানান, করিমগঞ্জ উপজেলার ৭৮টি পরিবারের মধ্যে ২৬ বোট বিতরণ করা হয়। প্রতিটি বোটের বাজার মূল্য ৩ লাখ টাকা। এর আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৯৮টি পরিবারের মাঝে ৬৬টি বোট বিতরণ করা হয়। নিকলী উপজেলায় ৪৩টি, বাজিতপুর ২৩টি বোট বিতরণ করা হয়। ৩ বছর আগে জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে উপজেলার ৩০০ পরিবারের ১০০টি কাটের বোট বিতরণ করেছিল সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট।
বোট বিতরণ অনুষ্ঠানের আগে করিমগঞ্জ উপজেলা হলে রুমে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, সংগঠনের ট্রেজারার ও সাবেক সচিব আরাস্তা খাঁন, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খাঁন আওলাদ, করিমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা বেগম সাথী, বারঘড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, সরতারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন ভূঞা প্রমুখ।
চংনওগাঁ গ্রামের ২৫ বছর ধরে নদীতে মাছ ধরেন জেলে আল ইসলাম (৪৫) জানান, আমাদের মাছ ধরে খেতে হয়। এই উন্নতমানের বোট পেয়ে আমাদের অনেক সুবিধা হলো। মাছ ধরে পরিবার নিয়ে চলতে পারবো। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
চংনওগাঁ গ্রামের লাল চান নামের জেলে বলেন, ৩০ বছর ধরে মাছ মাছ ধরে খুব কষ্ট করে পরিবার নিয়ে চলি। আগে কাটের বোট দিয়ে মাছ ধরতাম। নৌকা নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। ফাইবার গ্লাস বোট পেয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। মাছ ধরেতেও সুবিধা হবো।
শাগলী গ্রামের ৪৮ বছর বয়সী জেলে আবু সাঈদ জানান, আমরা জেলে মানুষ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। নৌকার অভাবে মাছ ধরতে কষ্ট হয়। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট বোট নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারের বর্ষায় আমরা আরামে মাছ দরতে পারবো। আমাদেরকে যদি বোটের সাথে জাল দিতো তাইলে আরও ভালো হতো।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, আমরাদের সংগঠন যাকাতের টাকা এনে গরীব মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। তারা যাতে এই বোট দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেই ব্যবস্থাই আমরা করেছি। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলারা হাওরাঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত জেলেদের মাঝে আমরা আরও বোট বিতরণ করবো।