ধানের কুড়ো, ভেজাল ও মানহীন পন্য দিয়ে মসলা তৈরি অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কিশোরগঞ্জে ধানের কুড়ো, ভেজাল ও মানহীন পন্য দিয়ে মশলা তৈরির দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (২৯ মে) বিকেলে সদর উপজেলার যশোদল মধ্য পাড়া এলাকার শরীফুজাম্মান রিপন রাইস মিলে (পরিচালক কাছুম মিয়া) এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ অফিস।

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার যশোদল মধ্য পাড়া এলাকার শরীফুজাম্মান রিপন রাইস মিলে অভিযান চালায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে মসলা তৈরির ভেজাল উপাদান পাওয়া যায়। মিলে মরিচ, হলুদ, ধনিয়া তৈরিতে ভেজাল, খাদ্য অনুপযোগী, মানহীন, গুঁড়ো করা ধানের কুড়ো পাওয়া যায়। এর দায়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী মিল মালিকেে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়। পরে জনসম্মুখে ভেজাল মসলা ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও জেলা সদর এর সতাল এলাকার রাজু স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য এবং প্রসাধনী রাখার দায়ে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক জানান, ভেজাল মসলা উৎপাদনের দায়ে এক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়। আরেক দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য এবং প্রসাধনী রাখার দায়ে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়। এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল। পরে জনসম্মুখে ভেজাল মসলা ধ্বংস করা হয়। ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

Share.