পাকুন্দিয়ায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় ছোট ভাইকে মারধর

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাদক ব্যবসা ও সেবনে বাধা দেওয়ায় মোহাইমিন নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করেছে আল আমিন নামের এক মাদক ব্যবসায়ী। রবিবার (৪ মে) দুপুরে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মাদক ব্যবসায়ী আল আমিন ওই গ্রামের মৃত হযরত আলী ছেলে এবং মোহাইমিন সম্পর্কে তারই ছোট ভাই। তবে এ বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আল আমিন তার বাড়িতে মাদক ব্যবসা করে আসছেন। এ কারণে অনেকবার পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রতিবারই কোন না কোন ভাবে বেরিয়ে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যান তিনি। বাড়িতে প্রকাশ্যে গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি করেন তিনি। এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত বছর তার বিরুদ্ধে আশুতিয়া বাজারে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। পরে কিছুদিন আত্মগোপনে চলে যান তিনি। কয়েক মাস ধরে এলাকায় ফিরে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।

আহত ছোট ভাই মোহাইমিন বলেন, আমি স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকি। প্রায় দেড় মাস ধরে তাদের নিয়ে বাড়িতে এসেছি। এসে দেখি প্রতিদিন রাতে আল আমিনের বসত ঘরে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন মাদক দ্রব্য কিনতে আসে। প্রতি রাতেই মাদক সেবীরা তার ঘরে বসে মাদক সেবন করে এবং হৈ হুল্লোর করে। তাদের বেপরোয়া আচরণে বাড়ির নারীরা আতংকে থাকে। বাড়িতে মাদক সেবীদের আনাগোনা এবং মাদক বিক্রি করতে আমি তাকে নিষেধ করি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে আমাকে এলোপাতারী পেটায়। এতে আমি বুক ও পিঠে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হই। আমি স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছি।

মোহাইমিনের স্ত্রী কুলসুম আক্তার বলেন, শুধু আমার স্বামীকেই পিটায়নি। আমাকে মারার জন্য ছুরি নিয়ে তেরে এসেছে। আমি দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আত্মরক্ষা করি। তিনি আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। কখন কি করে বসে আমরা খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ-প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে আল আমিনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.