আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নূর-এ-আলম খান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মিজানুর রহমান রনি, গাইনী এন্ড অবস্ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ মো. হাসানুর রহমান, অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডা. খালেদ মাহমুদ, মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুন্নেছা তমা, ডা. আকলিমা ইয়াসমিন, ডা. মো. সজীবুল ইসলাম, ডা. মো. আল আমিন, ডা. মো. মিঠুন রানা, ডা. মাহফুজা আক্তার, ডা. বাইতুন জাবিন সেতু, ডা. জাকিয়া জয়নাল, ডা. ফারজানা জামান পুনম, ডা. ফাতেমা জাহান শিমুল, ডা. মো. ফারুক প্রধান, ডা. প্রবাল সরকার, ডা. মুবাশশির আহমদ, ডা. এম.এস. দিপন, ডা. মো. নাজিবুল হক, ডা. সুমাইয়া রহমান, ডা. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
কনফারেন্স শেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চেম্বারে আনুষ্ঠানিক ভাবে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা চালু ও রোগী দেখেন চিকিৎসকরা। স্বল্প খরচে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা নিতে পেরে রোগী ও তাদের স্বজনরা সন্তেুাষ প্রকাশ করেছেন।
এখন থেকে সরকারী ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতিত অন্যান্য দিন বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এ সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে। এ সময় মেডিসিন, হৃদরোগ, গাইনী, সার্জারী, অর্থ সাজারী ও শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা রোস্টার অনুযায়ী নির্ধারিত চেম্বারে রোগী দেখবেন। সেখানে সরকারী মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হবে। নতুন করে দেশের ১৩২টি সরকারী হাসপাতালে এ বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
প্রথম দিনে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন, গাইনী এবং অবস বিশেষজ্ঞ ডা. মো. হাসানুর রহমান। এ সময় তার কাছে শাহনাজ পারভীন (৫৭) নামের একজন রোগী চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে শাহনাজ পারভীন বলেন, মাত্র ৩০০টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। এ কার্যক্রম যদি নিয়মিত চালু থাকে তাহলে দিন দিন রোগী অনেক বাড়বে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর-এ-আলম খান বলেন, এখন থেকে রোগীরা বাইরে কোন ডাক্তারের চেম্বারে না গিয়ে এ হাসপাতালেই স্বল্প খরচে ডাক্তার দেখাতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও সরকারী খরচে এ হাসপাতালেই করতে পারবেন। প্রয়োজনে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটিও চালু থাকবে।