গৃহবধুকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় শ্বাশুড়ির মৃত্যুদণ্ড

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গৃহবধু পাপিয়া আক্তারকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় শ্বাশুড়ি পারুল আক্তার (৫০) কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড প্রদান করে আদালত।

অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ঘটনার দুই বছর আগে জেলার মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের নাজির মিয়ার মেয়ে পাপিয়া আক্তারের সাথে করিমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলুখলা গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে আসিকুলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য পাপিয়া আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুক দিতে অপারগতা জানালে ২০১৫ সালের ২ মে গৃহবধু পাপিয়া আক্তারকে মারপিট করে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ মে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত পাপিয়া আক্তারের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী আসিকুল হক (২২), শ্বশুড় আনোয়ারুল হক খোকন (৫০), দেবর মাসিকুল হক (১৮) শ্বাশুড়ি পারুল আক্তার (৪২) ও ফুফু শ্বাশুড়ি বিবি হাওয়া আক্তার (৪০) কে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস এম জহিরুল ইসলাম স্বামীকে বাদ দিয়ে বাকি ৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারচলাকালীন সময় পাপিয়ার শ^শুড় আনোয়ারুল হক মৃত্যুবরণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল ও আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন।

Share.