হোসেনপুরে রোদ বৃষ্টি সঙ্গী করেই জীবন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধা ফজিলা : একটি ঘরের আকুতি

0
খায়রুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ) হোসেনপুরঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক হতদরিদ্র বৃদ্ধা তার থাকার ঘরটি সংস্কার কিংবা নতুন একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ছাড়াও সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে।
সুত্রমতে,গত কয়েকদিনের মুষলধারে বৃষ্টি যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে হতদরিদ্র বৃদ্ধা ফজিলার । কারণ ওই বৃষ্টির পানিতে তার ঘরের সবকিছুই ভিজে  হয়ে পড়ে। কেননা ভাঙ্গা চালার একমাত্র কুপড়ি ঘরই যে তার সহায় সম্বল। তাই রোদ বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই এ কুপড়ি ঘরে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন হতদরিদ্র বৃদ্ধা ফজিলা খাতুনের।
 তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পুমদি ইউনিয়নের বর্শিকুড়া গ্রামে। ফজিলার স্বামী সুরুজ মিয়া দীর্ঘদিন আগে তাকে ছেড়ে অন্য জায়গায় বউ নিয়ে সংসার করছেন। একটি মাত্র ছেলেও বউ সন্তান আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ভাঙা একটি ছোট্ট কুপড়ি ঘরেই কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছেন ফজিলা।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরানো টিনের ভাঙা চাল আর ভেড়ার একটি কুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন ফজিলা৷ তার ঘরের সবকিছুই বৃষ্টির পানিতে ভেজা। নিজের কোনো সহায় সম্বল নেই যে তিনি নতুন একটি ঘর তৈরি করবেন। এ সময় বৃদ্ধা ফজিলা জানান, বৃষ্টিতে ভিজেই প্রতিনিয়ত এ ঘরেই তার থাকতে হয় তার। ঘরটি মেরামত করার মতো তার কোনো সহায় সম্পদ নেই৷তাই সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তিনি কিছু টিন অথবা একটি ঘরের আকুতি তার।যেন বাকী জীবন একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারেন ৷
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে উপজেলার পুমদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম জানান, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি আমি জেনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার কয়েক জন মোরব্বীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন-বৃদ্ধা ফজিলা খেয়ে না খেয়ে দিনা দিন পাত করে, তার মূত বাবার ভিটে ছাড়া আর কোন অর্থ সম্বল নেই যে ভাঙ্গা ঘরটি মেরামত করবে। বৃষ্টি এলেই এই ভাঙ্গা  ঘরটিতে বসে ভিজে আর কান্না করে আল্লাহ কাছে মোনাজাত করে কেউ যদি আমাকে একটি নতুন ঘর করে দিতোও তাহলে আমি শেষ বয়সে নতুন ঘরে শুয়ে মরেও শান্তি পেতাম।
Share.