স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সহোদর ভাই মোঃ রিটন মিয়া (৪৫) কে হত্যা মামলায় সহদোর ৪ ভাই, ১ বোন, ভাবী ও ১ আত্মীয়সহ মোট সাতজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের জেল।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ আদেশ দেন। এ সময় মামলার প্রধান আসামি নজরুল ছাড়া অন্য ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত রিটন মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
দ-প্রাপ্তরা হলেন, নিহত রিটন মিয়ার সহোদর ভাই নজরুল ইসলাম (৪৫), খোকন (৪৭), সাত্তার (৪২), বকুল (৪৪) ও চম্পা আক্তার (৪২)। নজরুলের ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩২) ও আত্মীয় একই ইউনিয়নের ঠুটারজঙ্গল গ্রামের মকু মিয়ার ছেলে মোঃ সৈয়দ (৫৭)। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট দিলিপ কুমার ঘোষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলা সুখিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামে বাড়ির সীমনায় রেইন্ট্রি গাছ কাটা নিয়ে ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর সহোদর ভাই-বোনদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিটন মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সহোদররা। পরে প্রতিবেশিরা গুরুতর আহত আবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একইদিন নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার বাদি হয়ে সাতজনকে আসামি পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ সালে ১৯ অক্টোবর মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সারোয়ার জাহান সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।