পাকুন্দিয়ায় সহিংসতা এড়াতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলেন আওয়ামী লীগ নেতা

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও জেলা শ্রমিকলীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের সনমানিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা  দেন। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, আমি ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। নেতাকর্মীদের বৃহত্তর স্বার্থে আমার জন্য যেন বিগত দিনের মতো পাকুন্দিয়ায় আর কোন সংঘর্ষ, সহিংসতা, রাজনৈতিক হানাহানি না হয় এই স্বার্থে আমি নিজেকে জলাঞ্জালি দিয়েছি। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি। আমি জানি আমার সিদ্ধান্তের কারণে আমার নেতাকর্মীরা আহত হবেন। আমি চাই পাকুন্দিয়া উপজেলায় আমার জন্য যেন কোন সংঘাত সৃষ্টি না হয়।

প্রার্থীতা প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে আপনার উপর কোন হুমকি আছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসউদ বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া উচিত। আমার নেতাকর্মীদের রক্ষা করার জন্য। এ সময় তিরি তাঁর কর্মিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।

এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবদুল কাদির, নূরুল্লাহ মাহমুদ, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নাজমুল হক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা যুবমহিলালীগের সভাপতি সাহারা আক্তার সাথী, নারান্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন, সাবেক চেয়াম্যান মুঞ্জুরুল হক হীরা, সাবেক ছাত্রনেতা ইকবাল আহমেদ রিপন, পুলেরঘাট বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি খাইরুল আলম খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মুখলেছুর রহমান, নারান্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হুমায়ূন কবির, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মানিক ও শহীদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের আরেক প্রার্থী মোঃ আতাউর রহমান সোহেল তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি উপজেলার হাজী জাফর আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন কর্মি। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার প্রত্যাহারপত্র জমা দেন। এ ব্যাপারে আতাউর রহমান সোহেল বলেন, পারিবারিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

অপরদিকে গত ২০ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক র্ভিপি মোঃ কামাল উদ্দিন। কেন্দ্রের নির্দেশে এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্ণিং অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১৭ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহন ৮ মে।

Share.