স্টাফ রিপোর্টারঃ
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা জজ কোর্টের সামনের সড়কে এক ঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি চলে। এতে অংশ নিয়ে বক্তারা বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলে ধরেন।
বক্তাদের দাবি, কিশোরগঞ্জ–৪ (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম) আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ‘প্রহসনের বিচার’ বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুর রহিম মোল্লাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফজলুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ ক্ষুন্ন হবে এবং শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আদর্শ প্রতিষ্ঠার ঝুঁকি বাড়বে। তারা দ্রুত তার মনোনয়ন বাতিল ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাবেক ডিসি ও কিশোরগঞ্জ–৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের অন্তরে জিয়াউর রহমানের আদর্শ স্থান পায়নি। পেয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার স্থান। খালেদা জিয়াকে যখন এক কাপড়ে ক্যান্টমেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তখন ফজলুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তখনও তিনি (ফজলুর রহমান) কোন কথা বলেন নাই। কিন্তু যেদিন ট্রাইব্যুনালে হাসিনার ফাঁসির রায় হলো তখন কয়েক ঘন্টার মধ্যে তিনি স্বরুপে বের হয়ে আসলেন। বললেন, এই ট্রাইব্যুনালের রায় বিচারের নামে প্রহসন। বিএনপি বা যেই ক্ষমতায় আসুক এই রায় থাকবে না। এই আদালত, বিচারালয়, এই প্রসিকিউটর এইসব পদ্ধতি কোন সঠিক পদ্ধতি না।
রহিম মোল্লা বলেন, আমরা ধিক্কার জানাই এসব বিএনপি নামধারী আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের বিরুদ্ধে। যারা শেখ হাসিনার ফাঁসির বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন না। কাজেই আমরা ধরে নিতে পারি কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এই লোক যদি এখানে থাকে তাহলে বিএনিপি পুনর্বাসিত না হয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হবে।
মানববন্ধনে ইটনা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. গোলাম রহমান, ইটনা উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নূরু মিয়া, মিঠামইন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ আহমেদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।