২০০০ সালে টেস্ট অভিষেক হয় বাংলাদেশের ভারতের বিপক্। বাংলাদেশের মাটিতে ৮টি টেস্ট খেলে ফেলেছে।প্রতিবেশী দুই দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেট ভক্তের ধারণা- ভারত বাংলাদেশকে অবহেলাই করেছে এই আমন্ত্রণ না জানিয়ে। তাই টাইগারদের যেমন অপেক্ষা ছিল সুযোগের, তেমনি আমরাও টেস্ট খেলতে পারি সেটি দেখানোর প্রত্যয় ছিল। তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদের কণ্ঠে সেই প্রত্যয়টি যেন শোনা গেল।
গতবছর ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাসকিনকে নিয়ে ঝড় উঠেছিল। এখানেই তিনি বোলিং সন্দেহের শিকার হয়ে নিষিদ্ধ হন। এরপর লম্বা সময় ধরে নিজের অ্যাকশন শুধরে আইসিসি’র কাছে পরীক্ষা দিয়ে মুক্তও হন। তাই এই তরুণ পেসারের জন্য এ সফরটি নিজেকে প্রমাণ করার বড় একটি সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ। নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী, সেই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমও করছি। আমাদের কোচিং স্টাফ বিশেষ করে বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ আমাকে দারুণভাবে সাপোর্ট করছেন। আমি রিহ্যাব প্রক্রিয়া শেষে ব্রিসবেনে পরীক্ষা দিয়ে এসে আগের চেয়ে আরো জোরে বল করতে পারছি। আমার অ্যাকশনে এখন আর কোনো সমস্যা নেই।’
তাসকিন নিষিদ্ধ হওয়াতে দুই দেশের ক্রিকেটের সমর্থকদের মধ্যে গরম হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। দুই দলকে ভাবা হচ্ছিল দুই শত্রু হিসেবে। বলা হচ্ছিল এই শত্রুতা পাকিস্তান-ভারতের বৈরী সম্পর্ককেও হার মানিয়েছে। তবে তাসকিন এমন কোনো শত্রুতাই দেখতে পাচ্ছেন না।তাসকিন বলেন, ‘এখানকার সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন এক নয়। আসলে উপমহাদেশের সব উইকেটেই ব্যাটসম্যান ও স্পিনাররা সুবিধা পায়। আমাদের স্পিনার ও পেসারদের সাফল্যের জন্য লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে হবে। সত্যি কথা বলতে আমরা উইকেট স্পিন নাকি পেস সহায়ক তা নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা আসলে দৃষ্টি দিচ্ছি আমাদের অনুশীলন ও দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে।’
৯ই ফেব্রুয়ারি থেকে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে মুশফিক বাহিনী। আর ভারত দলপতির উইকেট পেতে বিশেষ লক্ষ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তাসকিন বলেন, ‘অবশ্যই ভালো লাগবে তার মতো বিশ্বসেরা একজন ব্যাটসম্যানের উইকেট নিতে পারলে। তবে বিরাটই নয়, আমার লক্ষ্য ভারতের সব টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের উইকেট নেয়ার।’ ভারতে খেলছেন না আরেক তরুণ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।