ভোট পুনঃগণনায় আবারো বিজয়ী হলেন মুশতাকুর রহমান

0

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট পুনঃগণনায় আবারো জয়ী হলেন মোহাম্মদ মোস্তাকুর রহমান। গত ২৯ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১এর বিচারক আ ন ম ইলিয়াস এই রায় ঘোষনা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৮ জুন কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ভোট গণনায় ত্রুটির অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানিয়া সুলতানা গত বছরের ১৭ জুলাই মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর উপজেলার ৮৯টি কেন্দ্রের সার্বিক ফলাফল সঠিক সিদ্ধান্ত ও মামলার নিষ্পত্তি হবে না মর্মে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ ন ম ইলিয়াস নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর ৪১ ও ৪২ বিধান অনুসারে ভোট পুনঃগণনার আদেশ দেন।

আদেশে জেলা নির্বাচন অফিসারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৪ নভেম্বর ভোট পুনঃগণনার সময় প্রার্থী ও প্রতিপক্ষ ছাড়াও দুই পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে জানানো হয়। এছাড়াও কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসারকে তলব করেন।

১৪ নভেম্বর ভোট পুনঃগণনার সময় তানিয়া সুলতানা ও তার আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান ও তার আইনজীবী অনুপস্থিত ছিলেন। সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের মাধ্যমে ৮৯টি ভোট কেন্দ্রের পুনঃগণনা শেষ হয়। গণনা শেষে তানিয়া সুলতানা নৌকা প্রতীকে সর্বমোট ১৫,৩২৩ ভোট ও মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ১৬,৪০৫ ভোট পেয়ে পুনঃগণনায় আবারো বিজয়ী হয়েছেন। এসময় জেলা প্রশাসনের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা নির্বাচন অফিসার, ছয়জন উপজেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা জজ আদালতের নাজিরসহ সিনিয়র কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২৪ মার্চ কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এসময় অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটের আগের রাতেই বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বক্স ভর্তি করে রাখেন। ভোটের দিনও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনার ভোট স্থগিত করেন। পরে ওই বছরের ১৮ জুন ভোট হয়। ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে ১ হাজার ১০ ভোট বেশি দেখিয়ে মুশতাকুর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ফলাফল বিবরণীতে দুই ধরনের তথ্য ছিল। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফলে বাতিল ভোট দেখানো হয় ২ হাজার ১৬৫। আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বিবরণীতে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৩১ ভোট। এ অবস্থায় তানিয়া সুলতানা প্রথমে উচ্চ আদালতে রিট করেন। পরবর্তী সময়ে পুনগণনার আবেদন করেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে।

Share.

About Author