নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পরকিয়ার জেরে নবী হোসেনকে হত্যার দায়ে এক নারীসহ দুইজনকে মৃত্যুদন্ড ও দুই জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। সেই সাথে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত দুই আসামিকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষনা করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলো ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া জেলার বিজেশ^র এলাকার মোহন পাঠানের মেয়ে সুমনা বেগম শিলা (২৮) ও কাজী মনির মাষ্টারের ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম (৩৫)। আদালতে কাজী নজরুল ইসলাম উপস্থিত থাকলেও সুমনা বেগম শিলা পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া জেলার কাজী মনির মাষ্টারের ছেলে কাজী নজরুল ইসলামের সাথে সুমনা বেগম শিলার বিবাহের পর দুইজনের ছাড়াছাড়ি হয়। পরে সুমনা বেগম শিলা কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চন্ডিবের দক্ষিনপাড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকাকালিন নবী হোসেনের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।
নবী হোসেনের সাথে প্রেমের সর্ম্পক চলাকালিন আবারও নজরুল ইসলামের সাথে সুমনার পুনরায় প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এরই জেরে নবী হোসেন ও নজরুল ইসলামের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয় এবং নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সুমনা বেগম শিলা তার ভাড়া বাসায় নবী হোসেনকে ডেকে নিয়ে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। হত্যার পরের দিন নিহতের স্ত্রী বিলকিস বেগম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চারজনের নাম উল্লেখ্য করে সিআইডি পুলিশের কর্মকর্তা এস আই মোঃ নজরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট জহিরুল হক ও আব্দুর রউফ।