নিজস্ব প্রতিবেদক
সেরেনজিং প্রণয় আর বিচ্ছেদের গল্প। গারোদের বিশ্বাস এই গল্প সাজিয়েছেন সাংসারিক ধর্মের দেবতা তাতারা রাবুগা। সেরেনজিং এই গল্পের নায়িকা। ওয়ালজান নায়ক। গারো লোককথার এই দুই চরিত্র নিয়ে তথ্যগল্প তৈরি করছে ভ্রমণবিষয়ক ওয়েব প্লাটফর্ম ট্রাভেলাইফ। সম্প্রতি নেত্রকোনার লেঙ্গুরায় এর শুটিং শেষ হয়েছে। ২০টি এপিসোডে ধারাবাহিকভাবে গল্পগুলো প্রকাশ হবে ইউটিউবে। লোককথা অবলম্বনে এর কাহিনী সাজিয়েছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ। নির্মাণ করছেন মশিউর রহমান কায়েস। ট্রাভেলাইফ এর পক্ষে প্রযোজনা করছেন আহসান সজিব।
পরিচালক মশিউর রহমান কায়েস বলেন, ‘এটি আমাদের প্রথম সিজন। ট্রাভেলাইফ ভ্রমণ ও জীবন নিয়ে আরো অনেক কাজ করবে। প্রথম সিজনের চিত্র নিয়েছি পাহাড়ি গ্রাম লেঙ্গুরা থেকে। এখানে গারোদের জীবন ও লোককথা উঠে এসেছে। সেইসঙ্গে একটু ভিন্নরকম করে তুলে এনেছি ভ্রমণবিষয়ক কিছু গল্প।’
শিগগিরই পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে তথ্যগল্পটি। আর তথ্যগল্পটি দেখতে দর্শককে যুক্ত থাকতে হবে ট্রাভেলাইফ ওয়েব ডটকম (travelifeweb.com) এর সঙ্গে।
এতে সেরেনজিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাংশ্রী (ফাতেমা) রংদী। ওয়ালজান চরিত্রে দুরন্ত মান্দা। এছাড়া ভ্রমণবিষয়ক অন্যান্য গল্পে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন শাহ শান্ত। মূকাভিনয় করেছেন রিফাত ইসলাম। ইকোট্যুরিজম এর গল্পে অভিনয় করেছেন মেনন।
সেরেনজিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করা ফাংশ্রী রংদী বলেন, ‘তথ্যগল্পের এই সিজনটি নামাতে গোটা দলকে রাত-দিন এক করে খাটতে হয়েছে। আমরা টানা কয়েকদিন কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি আমাদের সংস্কৃতির ধারাটাকে অটুট রেখে অভিনয় করতে। বিষয়টি সহজ ছিলো না, বলতে পারেন একটা প্রয়াসমাত্র। কেমন হয়েছে, সেটা বলবে দর্শক।’ তথ্যগল্পে সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন আনন্দ সরকার। বাংলা ভাষায় ভয়েস ওভার দিয়েছেন ড. সুরাইয়া ইয়াসমীন হীরা। পর্দার পেছনে কাজ করেছেন লাভলি রংদী।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিপুল মেহেদী, আহমদ আমিন। নৃত্য পরিবেশন করেছেন শাখি মান্দা, ফ্রিংচি জাম্বিল, চানচিয়া রংদী এবং ফাংশ্রী রংদী। এছাড়া অভিনয় করেছেন পিউস রংদী, প্রতিভা রংদী, ছোটন সিমসাং, খ্রিষ্পিন দারিং, প্রণতি মান্দা, হীরা চিরান, মেরী রংদী, গাসামচি নকরেক প্রমুখ। বাদকদলে রয়েছেন লিলি চিরান, ডালিয়া চিরান ও সিঞ্চন রংদী।