প্রতিনিধি ভৈরবঃ
কিশোরগঞেজর ভৈরব উপজেলা পরিষদের ভাইস- চেয়ারম্যান আল- মামুনসহ বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আল -আদিন নামের এক যুবলীগ নেতা গতকাল শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে এই মামলাটি দায়ের করে।
মামলায় অভিযোগ করা হয় গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাদী আল আদিন পৌর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারনার সময় শহরের কালিপুর এলাকায় গেলে আসামীরা তাকে আটকিয়ে তার মটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। এসময় তাকে আসামীরা মারধোর করার সময় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে।
মামলায় উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আল- মামুনকে আসামী করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীরা হলো দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি সোহেলুর রহমান সোহেল(৫০) , আঙ্গুর মিয়া (৫৮), ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল(৩৫) , মুকিত মিয়া(২৫) , লোকমান মিয়া (৩২), উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজন মিয়া (৪৪), তোফাজ্জল মিয়া (৩৫), যুবদল নেতা জুবায়ের আল মাহমুদ আফজাল (৪৩) , আক্তার হোসেন (৪০), এনামুল (৩৫), হানিফ মিয়া (৪৮), নজরুল খাঁন (৫৭), জাকারিয়া ফারুক (৫০), নাছির মোল্লা (৫০), বাছির মোল্লা (৪৫), নবী হোসেন (৩৫), কামরুজ্জামান রকি (৪২) ও জিনাত (২৩)। মামলায় স্বাক্ষী করা হয় ৩ জনকে।
ভৈরব উপজেলা পরিষদ ভাইস- চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা আল- মামুন জানান, মামলায় অভিযোগের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আগামীকাল ভৈরব পৌর নির্বাচনে আ,লীগের নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গায়েবি মামলাটি করা হয় ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তারা নিজেরা মটরসাইকেলটি পুড়িয়ে গায়েবি মামলাটি দায়ের করে। মামলায় যাকে বাদী ও স্বাক্ষী করা হয় তারা নিজেরাও মামলা সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানান তিনি। মূলত নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে দূরে রাখতেই গতকাল রাতে ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবি মামলাটি করে যুবলীগ নেতা।
মামলার বাদী আল- আদিনের সাথে ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। একারনে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ শাহিন জানান, থানায় যদি কেউ কোন ঘটনায় অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে মামলা নিতে হয়। বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা নেয়া হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।