নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জে কুলিয়ারচরে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই নিখোঁজের পর রাজিয়া আক্তার ও তার দুই সন্তান আলভী ও আদিবা আক্তারকে ফেরত পাওয়া ও মামলায় অভিযুক্ত আসামি রাজিয়ার স্বামী সোহেল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪মার্চ) সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী রাজিয়ার পরিবার।
এসময় রাজিয়ার বড় বোন জামাই রাসেল মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মৃত হিরু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৭) এর সাথে একই উপজেলার বাজরা গ্রামের রাজিয়া আক্তার (২৪) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সোহেল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন রাজিয়াকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। নির্যাতনের কারণে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং (৪৫/২০১৮)। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় স্থানীয় ভাবে মীমাংসার মাধ্যমে মামলাটি তুলে নেওয়া হয়। এবং পুনরায় রাজিয়া আক্তার তার স্বামীর সংসারে ফিরে যায়।
পরবর্তীতে আবারও নির্যাতন শুরু করলে নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাতে নিখোঁজ হোন রাজিয়া। নিখোঁজের পর তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও সন্ধান না পাওয়ায় কুলিয়ারচর থানায় ২০১৯ সালের ২২ জুলাই সাধারণ ডায়রি করেন বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়। নিখোঁজের সময় রাজিয়া আক্তারের সাথে তার দুই সন্তান (১৯ মাস) বয়সী আলভী এবং (৪ মাস) বয়সী আদিবা আক্তার সঙ্গে ছিল।
তিনি আরো বলেন, রাজিয়া ও তার দুই সন্তানের সন্ধান না পাওয়ায় পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৫ আগষ্ট কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২ এ রাজিয়ার স্বামী সোহেল মিয়াসহ তার পরিবারের ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন রাজিয়ার বড় বোন কুলসুম আক্তার। এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও রাজিয়ারসন্ধান না পাওয়ায় হতাশ রাজিয়ার পরিবারের লোকজন। তাই সরকারের কাছে দ্রুত রাজিয়াসহ তার বাচ্চাদের খুঁজে বের করে পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়াসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।