চুরি করে কৃষকের বালু বিক্রি দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় চুরি করে কৃষকের বালু বিক্রি করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এসময় উভয়ক্ষের অন্তত ৭-৮জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার বাহাদিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের কাজ চলছে। ওই নদ পাড়ের বাহাদিয়া এলাকার কৃষকদের জমির গর্ত ভরাটের জন্য খননকৃত বালুর একটা অংশ রেখে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ওই বালু বাহাদিয়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন ও কাইয়ুমসহ কয়েকজন কৃষকের জমিতে স্তুপ করে রাখা হয়। ওই স্তুপ থেকে চুরি করে বালু বিক্রি করে দেয় একই এলাকার মিরাজ, উজ্জল ও মোমেন। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ওই স্তুপ থেকে ট্রাক ভরে বালু নেওয়ার সময় জমির মালিক জামাল ও কাইয়ুমসহ কয়েকজন কৃষক বাধা দেয়। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিরাজ, উজ্জল ও মোমেন মুঠোফোনে তাদের নেতা আসাদুজ্জাামান (আসাদ ডিলার)কে জানায়। আসাদ ডিলার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ৫০-৬০জনের একটি দল নিয়ে কৃষকদের ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে জামাল, সবুজ ও রানাসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭-৮জন আহত হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.)একেএম লুৎফর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, বাহাদিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য স্থানীয় প্রশাসন আমার জমিতে স্তুপ করে বালু রেখে দিয়েছে। অথচ এই স্তুপ থেকে চুরি করে বালু বিক্রি করে দিয়েছে আসাদ ডিলারসহ তার লোকজন। ট্রাকভরে বালু নেওয়ার সময় আমিসহ কয়েকজন কৃষক এতে বাধা দিলে আসাদ ডিলার সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে আমাকে মারধরসহ আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান (আসাদ ডিলার) তার ওপর আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এর সঙ্গে জড়িত নই। তবে আমি শুনেছি ওই এলাকারই কয়েকজন
কৃষক মসজিদের জন্য ওই স্তুপ থেকে বালু নিচ্ছিল। তখন বালুর ভিটার জামাল উদ্দিনসহ কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো.সাারোয়ার জাহান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.)একেএম লুৎফর রহমান বলেন, সরকারি বালু কৃষকদের জন্য স্তুপ করে রাখা হয়েছিল। ওই স্তুপ থেকে অবৈধভাবে বালু নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বালুভর্তি ট্রাকটি আটক করে। খবর পেয়ে ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.