আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের মালিক মফিজুল ইসলামকে মারধর ও হারভেস্টার মেশিন ভাঙচুর করেছে একদল সন্ত্রাসী। আজ মঙলবার সকালে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পাকাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন দুপুরেই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২-৩জনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার সুখিয়া গ্রামের আশাব উদ্দিনের ছেলে রাসেল ও কোষাকান্দা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মেহেদী হাসান ডালিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সরকারি ভতুর্কি মূল্যে কৃষকের ধান কাটার জন্য একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কিনেন মফিজুল ইসলাম। চলতি মৌসুমে ওই মেশিন দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের ইরি-বোরো ধান কাটছেন তিনি। মঙলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সুখিয়া এলাকায় ধান কাটতে যাচ্ছিলেন তিনি। সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পাকাসড়কে পৌঁছলে রাসেল ও ডালিমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর পথরোধ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা মফিজুলের নিকট ৩০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বলে-‘টাকা না দিলে এ এলাকায় ধান কাটতে দেওয়া হবেনা’। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মফিজুল তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করায় উত্তেজিত হয়ে সন্ত্রাসীরা মফিজুলের নাক মুখসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল-ঘুষি ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে ডালিম মফিজুলের প্যান্টের পকেট থেকে ধান কাটার মুজুরির ১৪হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনটির পিছনের ডাকনার ডালা খুলে নিয়ে যায়। ডালাটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫হাজার টাকা হবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মফিজুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদশক (এসআই) মো.মজিবুর রহমান মোল্লা বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। মফিজুল ইসলাম এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।