নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর খোলা হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স। দানবাক্স খোলা হলেই মিলে কোটি টাকা। সাথে স্বর্ণ, রুপাসহ বিদেশী মুদ্রাও। জনশ্রুতি রয়েছে এখানে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়, এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এখানে দান করে থাকেন সকলেই।
দান করেন নগদ টাকা-পয়সা স্বর্ণালঙ্কার ছাড়াও, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র। প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের আটটি লোহার দান সিন্ধুক। প্রতিবারের মতো এবারও ৪ মাস ২৬ দিন পর আজ শনিবার সকাল ৯টায় মসজিদের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে খোলা হয় দান সিন্ধুক। পরে বস্তা বন্দি করে মসজিদের মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা সারাদিন গণনা শেষে দান সিন্ধুক থেকে পেয়েছেন ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭ শত ৭৯ টাকা।
দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম টাকা গণনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব অর্থ মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ সাধারণ মানুষের চিকিৎসার কাজে ব্যয় করা হয়। সেই সাথে মসজিদটির উন্নয়নে ইতিমধ্যে মাষ্টার প্ল্যান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলহাস হোসেন সৌরভ, মোঃ ইব্রাহীম, মাহামুদুল হাসান, মোঃ উবায়দুর রহমান সাহেল।