চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চার সন্তানের এক জননীকে (৪৮) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৯মে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার দুপুরে দুইজনকে আসামি করে ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা করেন। আসামিরা হলেন, উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে আবু হানিফা (৫৫) ও চ-িপাড়া গ্রামের মৃত খুদে নেওয়াজের ছেলে জালাল উদ্দিন বাচ্চু (৫০)।

এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কুমড়ী এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আবু হানিফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পাকুন্দিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়েদের বিয়ে হওয়ায় স্বামীর বাড়িতে থাকেন। বড় ছেলে নারায়ণগঞ্জ থাকেন। ছোট ছেলে কিশোরগঞ্জের একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। এ কারণে ওই নারীকে বাড়িতে একাই থাকতে হয়। এসুযোগে প্রতিবেশী আবু হানিফা প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। এতে রাজি না হওয়ায় তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় আবু হানিফা। গত ১৯মে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে দরজা খুলে ঘরের বাইরে যান ওই নারী। এসময় কৌশলে ওই নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন আবু হানিফা। কাজ শেষে ঘরে ঢুকার পর ওই নারীকে জাপটে ধরে আবু হানিফা। একপর্যায়ে হাতে থাকা ছুরির ভয় দেখিয়ে মুখে কাপড় গুঁজে ওই নারীকে জোরপূর্বক রাতভর একাধিকবার ধর্ষণ করে হানিফা। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এসময় ওই নারীর স্পর্শকাতর জায়গায় কামড়িয়ে গুরুতর জখম করে হানিফা। ধর্ষণ শেষে চলে যাওয়ার সময় ঘটনার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিলে ওই নারীকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় হানিফা। পরের দিন আবারও আবু হানিফা তার বন্ধু জালাল উদ্দিন বাচ্চুকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীর বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে এ ঘটনার ব্যাপারে যদি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে ওই নারীসহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে খুন-জখমসহ ক্ষতিসাধনের হুমকি দেয় তারা। এজাহারে তিনি আরও বলেন, জখম হওয়া জায়গার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে কিছুদিন পর বিষয়টি তার পরিবারের সদ্যস্যদেরকে জানান তিনি। পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সারোয়ার জাহান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি আবু হানিফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Share.