খায়রুল ইসলাম, হোসেনপুরঃ
কথায় আছে প্রথম বৈশাখে নালিতা (পাট) বুনি শ্রাবণে (শাওনে) কাটি। শ্রাবণ মাসে ভরা মৌসুমে পাট পরিপক্ক হলে কৃষকরা পাট কাটতে শুরু করে। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ৬টি ও পৌরসভায় চাষীরা পাট কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।
এবছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবে চরজিনারী, সিদলা, গড়মাছুয়া, বিলচাতল, গোবিন্দপুর, চরজামাইল, বিশ্বনাথপুর, সাহেবেরচর, চরকাটিহারী, জামাইল ও ভরুয়া গ্রামের চাষীরা পানির অভাবে পাট জাগ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বৃষ্টির পরিমান কম থাকায় অল্প পানিতেই জাগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। ভরুয়া গ্রামের পাট চাষী মো.খায়রুল ইসলাম জানান, উৎপাদন ও মাড়াই খরচ বেড়ে যাওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর হোসেনপুর উপজেলায় ১হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। বাজারে বিভিন্ন জাতের পাট উঠতে শুরু করেছে। প্রতি মন নতুন পাট ১হাজার ৮শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান,কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বিনামূল্যে বীজ সার ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।