স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ সরকারী গুরুদয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র জুয়েল মিয়া হত্যা মামলায় দায়িত্বরত তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ইন্সপেক্টর ধনরাজ দাসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (৮ আগষ্ট) সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের স্থানীয় একটি পত্রিকার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত জুয়েল মিয়ার স্বজনরা।
লিখিত বক্তব্যে নিহতের মা ললিতা আক্তার বলেন, জুয়েল মিয়া হত্যা মামলায় দায়িত্বরত তদন্তকারী কর্মকর্তা নেত্রকোনা জেলার পিবিআই ইন্সপেক্টর ধনরাজ দাস মামলা তদন্তকালীন সময় বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ললিতা আক্তারের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে পুনরায় আরো টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে টাকা দিতে অস্বীকার করে ললিতা। টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয় ধনরাজ।
এতে কাজ না হওয়ায় ললিতা আক্তারের স্বামী সাবিজ মিয়া ও মেয়ের জামাতা আবুল হোসেনকে মামলা শেষ করে দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা দাবি করেন ধনরাজ। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ফসলি জমি বন্ধক রেখে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তুলে দেয় পিবিআই ইন্সপেক্টর ধনরাজের হাতে।
টাকা পাওয়ার পরও ভুক্তভোগী ওই পরিবারের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে ধনরাজ। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই পরিবারটি ধনরাজের কাছ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ঘুরেও কোন বিচার না পেয়ে গত ২৩মে ডিআইজি (পিবিআই) এর কাছে ডাক যোগে ও ১ আগষ্ট নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার পিবিআই ইন্সপেক্টর অভিযুক্ত ধনরাজ দাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার সান্দিকোনা গ্রামে রাত ১১টায় নিজ ঘর থেকে বাহিরে যাওয়ার পর নিখোঁজ হোন জুয়েল মিয়া (২২)। নিখোঁজের পরেরদিন সকালে বাড়ির পাশ থেকে জুয়েল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। পরে নিহত জুয়েল মিয়ার বাবা সাবিজ মিয়া বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কেন্দুয়া থানা পুলিশের তদন্তকালে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে মামলাটি হস্তান্তর করে।