ভারত ধর্মীয় নেতা জাকির নায়েকের পাসপোর্ট বাতিল করেছে ।সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে অভিযুক্ত করে দেশটির দুর্নীতি বিরোধী সংস্থায় হাজির হতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এ জন্য তাকে ১৩ই জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তিনি ভারতে ফেরেন নি। ফলে তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-এর সুপারিশের ফলে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মুম্বইয়ের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস তার পাসপোর্ট বাতিল করে। টাইমস অব ইন্ডিয়া রিপোর্টে বলেছে, এতে তিনি রাষ্ট্রহীন মানুষে পরিণত হলেন। ড. জাকির নায়েকের বিভিন্ন বক্তব্য তদন্ত করেছে এনআইএ। অভিযোগ আছে, এসব বক্তব্য, ভাষণ তরুণ প্রজন্মকে সন্ত্রাসী কর্মকা যুক্ত হতে উৎসাহিত করেছে। তিনি সন্ত্রাসী কর্মকা- অর্থায়ন করেছেন বলেও অভিযোগ আছে। বেশ কয়েকবার তাকে তদন্ত সংস্থায় উপস্থিত হতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেন নি। গত বছর তিনি ভারত ত্যাগ করেন। তারপর থেকে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া সহ আরো কিছু দেশ সফর করছেন তিনি।
ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, পাসপোর্ট বাতিল করায় এখন তার এই চলাচল সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। গত ৩রা জুলাই মুম্বইয়ের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী অফিসার ১০ দিনের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে যেকোনো কর্মদিবসে তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করতে জাকির নায়েককে লিখিতভাবে জানান।
এতে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পাসপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হলে ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইনের অধীনে আমরা আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। গত ২৯ শে জুন মুম্বই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে লিখিতভাবে এনআইএ জাকির নায়েকের পাসপোর্ট বাতিল করতে বলে।
তাতে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত মুলতবি অবস্থায় আছে তাতে তিনি সহযোগিতা করছেন না। এর আগে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ১৫ই মার্চ ও ৩১ শে মার্চ তিন দফায় জাকির নায়েককে নোটিশ দেয়া হয়। ২১ শে এপ্রিল তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
Info : mzamin.com