আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় একটি অবৈধ সিসা কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সেই সঙ্গে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম জাফরুল ইসলাম (৩২)। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বামনকুড়ি গ্রামের মো. ইজার আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাস আগে উপজেলার কুমারপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তির জমি ভাড়া নেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বামনকুড়ি গ্রামের ইজার আলীর ছেলে জাফরুল ইসলাম। ওই জমির চারপাশে টিন দিয়ে ঘিরে গড়ে তোলা হয় সিসা তৈরীর কারখানা। সেখানে পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসার মন্ড তৈরী করা হয়। যা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ওই কারখানার সব শ্রমিকও তিনি গাইবান্ধর গোবিন্দগঞ্জ থেকে এনেছেন। বিষয়টি স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানালে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে সরেজমিনে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ওই কারখানা থেকে তিনটি রোলার মেশিন ও বিভিন্ন ধরণের সিসাসহ ৯২টি পুরাতন ব্যাটারী জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। পরে কারখানার মালিক মো. জাফরুল ইসলামের কাছে কারখানা স্থাপনের পক্ষে লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র চাইলে তিনি কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ডসহ এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নয়ন কুমার রায়, উপজেলা ভূমির অফিসের নাজির শাহ আলমসহ পাকুন্দিয়া থানার একদল পুলিশ।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতির সামগ্রী উৎপাদন ও বিক্রয় করার অপরাধে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কারখানায় ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।