মডেল মসজিদের জন্য জমি অধিগ্রহণের কথা বলে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে করেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন মোল্লাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম তৌফিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, নতুন জেলখানা সংলগ্ন পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া তাদের সাড়ে ৪৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এ জমিতে তাদের অংশিদারদের তিনটি দোকান রয়েছে। এখানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য গত বছর এ জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণ শাখা থেকে তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ পাওয়ার পর তারা জমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে দরখাস্ত দেন।
পরে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে তাদেরকে ডাকা হয়। সেখানেও তারা জমি দিতে অপারগতার কথা জানান। এ অবস্থায় গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কালেক্টরেটের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলএ) শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে মারিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার তানভীর আহমেদ উজ্জ্বল, একই এলাকার রাসেল, আঙ্গুর মিয়া, বাক্বার, আলাল মিয়া, কাদির, শাহজাহানসহ অজ্ঞাত বেশকিছু লোক এক্সকাভেটরের সাহায্যে তিনটি দোকান ভেঙ্গে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে তৌফিক ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি মেম্বার তানভীর আহমেদ উজ্জ্বল জানান, এলাকার জনগণ এটি করেছে। এর সাথে তিনি জড়িত নন দাবি করে বলেন, জনগণ সবাই আমার। কালেক্টরেটের এলএ শাখার সার্ভেয়ার মো. মহসিন ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াই এখনও সম্পন্ন হয়নি। তাই তাদের দ্বারা স্থাপনা ভাঙচুরের প্রশ্নই আসেনা। ভাঙচুরের সাথে তারা জড়িত নন উল্লেখ করে জানান, বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন তারা।