স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ সদরে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলেকে গলাকেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (২৮ মে) সকালে সদর উপজেলার কোট শোলাকিয়া এলাকায় তার বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ৫০ বছর বয়সী দানেশ মিয়া কোটশোলাকিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা কুঁড়েরপাড় এলাকায়। অপরদিকে গুরুতর আহত ২২ বছর বয়সী মো.রাব্বি মিয়াকে মুমূর্ষ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে পেশায় বিদ্যুতের কারিগর।
স্থানীয় বাসিন্দা ও তাদের প্রতিবেশী মোঃ জুয়েল মিয়া ও উজ্জল মিয়া জানান, দানেশ দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। এক পর্যায়ে সে নিজেও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সে একাধিক বিয়েও করেছে। সাত মাস পূর্বে তার ছেলে রাব্বি বিয়ে করেছেন। সে তার পুত্রবধুকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাতাহাতি হয়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন তারা। সম্প্রতি মাদকের টাকার জন্য ছেলে রাব্বিকে চাপ দিতে শুরু করেন। এ কারণে গত কয়েকদিন যাবত বাবা ও ছেলের মধ্যে পারিবারিক কলহ বাঁধে। রবিবার (২৮ মে) সকালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চাকু দিয়ে তার ছেলের গলায় আঘাত করেন। এতে তার গলা কেটে যায়। এ সময় দৌড়ে পালাতে চাইলে আবারও তার পিটে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে রাব্বিকে উদ্ধার করেন আর দানেশকে আটক করে পুলিশেল হাতে তোলে দেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত রাব্বিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা দানেশ মিয়াকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
