কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী- পাকুন্দিয়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদকে দূর্ঘটনার এমপি বললেন জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলরা পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের কুমড়ি ব্রীজ সংলগ্ন মাঠে উপজেলা যুবলীগের কর্মী সমাবেশ এসব কথা বলেন।
মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদকে ঈঙ্গিত করে বলেন, অনেক সময় দেখা যায় দূর্ঘটনা বসত বাংলাদেশে অনেক ঘটনা ঘটে। আপনি আসলে দূর্ঘটনাক্রমে সংসদ সদস্য হয়েছেন। আপনি দূর্ঘটনাক্রমে নমিনেশন পাওয়া একজন এমপি।
তিনি আরও বলেন, আপনি যুবলীগ নেতা সোহাগসহ আরও অনেকের বাসা-বাড়ি ভাঙলেন। আপনার ভিতরে আওয়ামী লীগ নেই। আপনার অন্তরে মুজিব প্রেম নেই। উনার মুখে নৌকা অন্তরে কি? উনি আওয়ামী লীগ কর্মীদেরকে পিঠাতে ভালোবাসেন। এখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপরে হাত তুলতে সাহস পায় না। কিন্তু আপনার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। এই আপনার আওয়ামী লীগ? কটিয়াদী উপজেলা যুবলীগের সদস্য মাহবুবকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার অনেকেই তার জানাজায় আসলেন। আপনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য কিন্তু মাহবুবের পরিবারকে শান্তনা দিতে আপনি আসলেন না। বরং আমি যা খবর পেলাম হত্যাকারী যারা আছে তাদেরকে আপনার বাড়িতে দেখা যায়। এই আপনার আওয়ামী লীগ। সমস্ত খবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাখেন। ফজলুল করিম সেলিম সাহেবের বক্তব্য আপনারা শুনেছেন পত্রপত্রিকায় আসে যে, অনেক জায়গাতেই পরিবর্তন হবে। পাকুন্দিয়া-কটিয়াগী মানুষের দাবি এই জায়গাতেও পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর মানুষ পরিবর্তন চায়। আর প্রকাশ্যভাবে এখানে জেলা যুবলীগও পরিবর্তন চায়। আমার যুবলীগ নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণ করবেন। তাদেরকে রক্তাক্ত করবেন। তাদেরকে মেরে রাস্তায় ফেলে রাখবেন আর আমরা আপনার জন্য হাততালি দেবো? সম্ভব না সম্ভব না সম্ভব না। অতএব নো মোর নূর মোহাম্মদ, নো মোর নূর মাহাম্মদ, নো মোর নূর মোহাম্মদ।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল তার বক্তব্যে বলেন, অনেক রক্ত ঝড়েছে পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীতে। কারা ঝাড়াচ্ছে, আমরাই ঝাড়াচ্ছি। যিনি এমপি হয়েছেন তিনিতো আছেনই। আর যারা ঝাড়াচ্ছেন তাদের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই আপনারা কাদের রক্ত ঝড়াচ্ছেন? ভাইয়ের রক্ত ভাইয়ে ঝাড়াচ্ছন। বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বার বার একটি কথাই বলতেন কোকিল বসন্তকালে ডাকে। বসন্ত শেষ হলে কোকিল আর ডাকে না। আপনারা কি সেই বসন্তের কোকিল। যারা আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরাচ্ছেন। ভাইয়ের রক্ত ভাই ঝরাচ্ছেন তাহলে কি আপনারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আজকের সভা থেকে আপনাদের কাছে স্পষ্টভাবে বলে যায় এই হানাহানি মারামারি রক্তাক্ত আপনারা বন্ধ করুন। না হয় পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী যুব লীগ কিভাবে তা বন্ধ করতে হয় তারা জানে। কর্মী সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবলীগের যগ্ম আহ্বায়ক একরাম হোসেন টিপুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাহবুবুর রহমান, শামসুদোহা (দোহা), যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন (ভিপি ফরিদ) প্রমুখ। পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবলীগের এ কর্মী সমাবেশে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে আসে কর্মীসমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।