স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির স্বজন থানায় মামলা করেছেন। মামলায় মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন দুর্ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন। এছাড়া এ মামলায় ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নজরুলের মৃত্যু হয়। তিনি পাশ্ববর্তী নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার সররাবাদ গ্রামের দর্শন মিয়ার ছেলে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ায় থাকতেন নজরুল। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার বলেন, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি আর তাচ্ছিল্য ছিল বলেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ দুর্ঘটনা ঘটতো না। এত মানুষের ক্ষতিও হতো না।
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি আমার ভাইকে হারিয়েছি। অনেকে পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সদস্যদের হারিয়েছেন নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা কেউ কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের আর ফিরে পাবো না। কিছু মানুষের খামখেয়ালির কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কোনো দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি হয় না। শাস্তি হয় না বলেই এগুলো বাড়ছে। শাস্তির আওতায় আনার জন্যই আমি মামলাটি করেছি।
গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভৈরব বাজার জংশনের কাছাকাছি জগন্নাথপুর এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এগারসিন্দুর গোধূলি ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৮ জন নিহত হন। আহত হন ৭৫ জন। এ ঘটনায় লোকোমাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী লোকোমাস্টার আতিকুর রহমান ও গার্ড আলমগীর হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।