স্টাফ রিপোর্টারঃ
বুধবার (০ ৯ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জের ৩ উপজেলায় কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচনে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. আওলাদ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪,৯৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুন আল মাসুদ খান কাপ পিরিস প্রতীকে ৪২,১৫৪ পেয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচন উড়োজাহাজ প্রতীকে ২৫,৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান মিতুল চশমা প্রতীকে ২১,১৯৯ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাসুমা আক্তার হাঁস প্রতীকে ৫৪,০৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তাছলিমা সুইটি ফুটবল প্রতীকে ৩২,৫৭৪ পেয়েছেন। সদরের ভোটার সংখ্যা ৩,৫৫,৮১৮। পুরুষ ভোটার ১,৭৯,৬৩২ ও মহিলা ভোটার ১,৭৬,১৮৩ ও হিজড়া ভোটার ৩ জন।
অপরদিকে হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ সোহেল আনারস প্রতীকে ২৩,৯৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এম,এ, হালিম হেলিকপ্টর প্রতীকে ১৭,২০৪ পেয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ আল আমিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৭,৫৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শফি উদ্দিন সরকার বাচ্চু চশমা প্রতীকে ২০,৯১২ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছাবিয়া পারভীন জেনি কলস প্রতীকে ৪৯,৫২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সেলিনা আক্তার হাস প্রতীকে ১৩, ৯৪০ পেয়েছেন। হোসেনপুর উপজেলায় ভোট সংখ্যা ১,৬৬,১৬৭। পূরুষ ভোটার ৮৫,৫৫৬ এবং মহিলা ভোটার ৮০, ৬১১ জন ।
অন্যদিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এমদাদুল হক জুটন আনারস প্রতীকে ২৮,৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রফিকুল ইসলাম রেনু মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৭,৭৯১ পেয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে একেএম ফজলুল হক তালা প্রতীকে ২৬,০২১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আতাউর রহমান সোহাগ উড়োজাহাজ প্রতীকে ২৩,১৮৭ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামসুন্নাহার বেগম কলস প্রতীকে ৪৮,৯৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোছা. ললিতা বেগম ফুটবল প্রতীকে ১৭,১৮৩ পেয়েছেন। পাকুন্দিয়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২,২৪,৬৬৯্ পুরুষ ভোটার ১,১২,৬৬৫, মহিলা ভোটার ১,১২,০০৪ জন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম জানান, কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া প্রথম ধাপের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে সব কেন্দ্রে ঝামেলা হয়েছে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন, পুলিশ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক ছিল। তারা দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট তৎপর ছিলেন। পেশাদারিত্বের সঙ্গে তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। সে কারণে পরিস্থিতি যথেষ্ট ভাল ছিল। শান্তি পূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। “ভোট পড়ার হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে হতে পারে। তবে ধান কাটার মৌসুম বিধায় ভোট পড়ার হার কম হতে পারে। ভোটাররা ধান কাটতে থাকায় ভোটকেন্দ্রে আসেনি তাই ভোটের হার কম হয়েছে। তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৭ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৫৪ জন।