স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুলিশের হাত থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার আসামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বাবুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
রোববার (২ফেব্রুয়ারি) পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. সুজায়েত হোসেন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি করেন। এর আগে শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বাহাদিয়া গ্রামে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নুরুজ্জামান বাবু উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থীত নৌকা প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলার কামারকোনা গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে।
গত বছরের ২০ জুলাই ও ৪ আগস্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানায় করা দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবু। একটি মামলার বাদী বিএনপি কর্মী মো. নজরুল ইসলাম। তিনি গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৮০-৯০ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় নুরুজ্জামান বাবু ১৭ নম্বর আসামি।
অপর মামলার বাদী উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি মো. মোস্তফা। তিনি গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় নুরুজ্জামান বাবু ১০ নম্বর আসামি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. সুজায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করতে উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার সময় তার চিৎকারে আওয়ামী লীগের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পুলিশের হাত থেকে চেয়ারম্যান বাবুকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. শাখাওয়াৎ হোসেনসহ একদল পুলিশ গিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি নুরুজ্জামান বাবুসহ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়। তবে এ অভিযানে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।