আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভোর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচীর পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসব কর্মসূচীর আয়োজন করে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রশাসন।
সকালে জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-২(কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সারোয়ার জাহান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
উক্ত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের চৌকস পুলিশদল, বিএনসিসি, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি সদস্য, উপজেলা ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা কুচকাওয়াজে অংগ্রহণের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে অতিথি মঞ্চ। এসময় অতিথি মঞ্চ থেকে সালাম গ্রহণ করেন কিশোরগঞ্জ-২(কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সারোয়ার জাহান। পায়ে পায়ে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া কুচকাওয়াজ মুগ্ধ করে চারপাশে দর্শক সারিতে বসা হাজারো মানুষের মন।
কুচকাওয়াজের পর শুরু হয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও প্রতিষ্ঠানের ডিসপ্লে প্রদর্শন। প্রদর্শিত এ ডিসপ্লেতে বাংলার গৌরবময় সংগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সংগ্রাম, বর্তমান সময় এবং অগ্রগতির বাংলাদেশের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন ডিসপ্লেতে অংশ নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা। এসময় অতিথি এবং দর্শকরা মন্ত্র মুগ্ধের মতো তাদের প্রদর্শিত ডিসপ্লে উপভোগ করেন। পরে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
ডিসপ্লে শেষে পাকুন্দিয়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিকেল ৪টা ৪০মিনিটে সারাদেশের ন্যায় পাকুন্দিয়ায়ও একযোগে শপথ বাক্য পাঠ করে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এরপর সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় দিবসের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৫০বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রশাসন।