প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পাচ্ছেন পাকুন্দিয়ার ১৮ অসহায় পরিবার

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
“আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার”, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে এবারের ঈদুল ফিতরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ১৮ অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি করা হয়েছে গৃহহীনদের জন্য এসব ঈদ উপহার। চারদিকে ইটের দেওয়াল এবং মাথার উপরে দেওয়া হয়েছে নীল রঙের টিনের ছাউনি। আগামীকাল মঙ্গলবার(২৬ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঈদ উপহারের এসব ঘর আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রশাসন।

পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশে ভূমিহীনদের নিজস্ব ঠিকানা করে দেওয়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। “আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার”, মুজিব বর্ষে এই স্লোগান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাস জমিতে ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার ১২৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে মুজিব বর্ষের ঘর প্রদান করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে ১৮টি ঘর এবারের ঈদুল ফিতরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রদান করা হবে। এরই মধ্যে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের আশুতিয়া এলাকায় ১৮টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রওশন করিম বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে এবার ১৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আগের দুই পর্যায়ের ঘরের চেয়ে তৃতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। ঘরের নকশায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে ঘরগুলো টেকসই ও মজবুত হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, মুজিব শতবর্ষে একটি মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রশাসন। দুই পর্যায়ে ইতিমধ্যে ১২৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার(২৬ এপ্রিল) তৃতীয় পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে ১৮ পরিবারের মাঝে দুই শতাংশ জমির দলিলসহ গৃহ হস্তান্তর করা হবে। চতুর্থ পর্যায়ে গৃহ নির্মাণের জন্য ভূমিহীনদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

Share.