নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপেক্ষায় কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী এ সুধী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এ সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় সেনানিবাস উদ্বোধন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যান। সেখানে দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের পর বিকেল ৩টায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন সরকার প্রধান।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকেই সুধী সমাবেশস্থলে আসতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে মানুষের ঢল নামে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলাসহ আশপাশের সব জেলা থেকে এসেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। নৌকা, লঞ্চ, মোটরসাইকেল, বাস, পিকাপ লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে এখনও জনসভায় আসছেন অনেকে।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, আমাদের হাওরে প্রধানমন্ত্রীর এ সুধী সমাবেশ আজ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। শুধু নেত্রীর কারণে সুধী সমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখন কানায় কানায় পূর্ণ মাঠ। মাঠের বাইরেও অবস্থান করছে অনেকে। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে আরও মানুষের সমাগম হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের হাওরবাসীর আর কোনো চাওয়া নেই। হাওরের উন্নয়নে তিনি সব করে দিয়েছেন। তার জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে আজীবন। প্রধানমন্ত্রী হাওরে আসছেন এটাই আমাদের বড় পাওয়া।
রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাষ্ট্রপতি পুত্র স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন রাষ্ট্রপতির ভাগ্নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ৩রা অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন। তখন আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী মিঠামইন সফরে আসছেন।