স্টাফ রিপোর্টারঃ
যে কৃষকের জমির ধান পেকেছে কিন্তু শ্রমিকের টাকা যোগাড়ের জন্য সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারছেনা তাদের খোঁজ নিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করছে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী জয়নাল আবেদিন সুলেমান।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী জয়নাল আবেদিন সুলেমানের নেতৃত্বে জেলার হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়ন চরপুমদী এলাকার দরিদ্র কৃষক কামাল মিয়াসহ কয়েকজন কৃষককের ৭ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী জয়নাল আবেদিন সুলেমানের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আবানে সাড়া দিয়ে কৃষকের সোনালী ফসল ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। গত বছরের ন্যায় এবারও এ ধারা অব্যহত রাখতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। যে সকল দরিদ্র কৃষক ভাইয়েরা শ্রমিকের মজুরির অভাবে জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেনা তাদের খোঁজ নিয়ে জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের ছাত্রলীগের কর্মীরা এলাকা দরিদ্র কৃষক ভাইদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আমরা শ্রমিক সংকটে পড়া অসহায় কৃষক ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি। পুরো ধান কাটার মৌসুমে কৃষকদের পাশে থাকবো এবং যেখানেই শুনবো কৃষকেরা শ্রমিক সংকটে ধান কাটাতে পারছেনা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত রয়েছি।
এ বিষয়ে কৃষক কামাল মিয়া ও ফজলুর রহমান বলেন, আমরা দরিদ্র কৃষক। মানুষের জমি চাষ বাস করে ধান উৎপাদন করে খাই। এবার ধান উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি। এই সময়ে ধান কাটার শ্রমিক সংকট ও দাম অনেক বেশি। আমাদের ৭ বিঘা জমির ধান কাটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। এমন সময় ছাত্রলীগের ভাইয়েরা আমাদের ধান কেটে মাড়াই করে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আমাদের অনেক বড় উপকার করেছে। আমরা ছাত্রলীগ ভাইদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
গেল বছরের তুলনায় এ বছরও কিশোরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও শ্রমিক ও আর্থিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এমতাবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জ জেলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন।