ডেস্ক রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যাকসিন আসামাত্র বাংলাদেশের জনগণ যাতে সহজেই পায়, সে ব্যাপারে সরকার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
করোনার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায় বলা মুশকিল, তবুও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জনগণের মাঝে সচেতনমূলক ক্যাম্পেইন করারও নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের আজ ২৭ নভেম্বর শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কর্মরত চিকিৎসকদের মাঝে উন্নতমানের এন ৯৫ ও সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনপ্রাপ্তিকে সহজ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের নাগালে পৌঁছে দিতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক এ মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশ আজকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব।
একটি অশুভ মহল বৈশ্বিক মহামারীর এই মানবিক সংকটকে পুঁজি না করলে পরিস্থিতি মোকাবেলা আরও সহজতর হতো এবং জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কম হতো জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণকে এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিএনপি মহাসচিব সম্প্রতি রাজধানীর ৩টি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে রহস্যজনক বলে যে দাবি করেছেন, সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনকতো বটেই। তবে এ রহস্যের পিছনে কারা আছে সেটা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের শান্তি বিনষ্টের কোন ষড়যন্ত্র অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আছে কিনা; সেটা তদন্তের পরে বেরিয়ে আসবে।
এই ঘটনা স্বাভাবিক নাকি নাশকতা এবং এর সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের কাউকে রেহাই দেয়া হবে না বলে হুশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেরা আগুন সন্ত্রাস করে সরকারের ওপর দোষ চাপায়, কাজেই অগ্নিসংযোগ ঘটনাও তারা যত দোষ নন্দ ঘোষের ওপর চাপানোর পুরোনো অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে।
ধানমন্ডি প্রান্তে এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা প্রমুখ।