আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বীজ আলুর মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিএডিসি’র বীজ আলু হিমাগারের চুক্তিবদ্ধ চাষিরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিএডিসি বীজ আলু হিমাগার পাকুন্দিয়া জোনের আলু চাষির ব্যানারে বিএডিসি হিমাগার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে পাকুন্দিয়া ও হোসেনপুর উপজেলার ২৭টি ব্লকের শতাধিক আলু চাষিরা অংশ নেয়।
হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউপি চেয়ারম্যান ও সিদলা ব্লকের চাষি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী ব্লকের চাষি মাঈনুল হক সেলিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুখিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্লক চাষি আজিজুল হক তোতা, চরজামাইল ব্লকের চাষি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ, জামাইল ব্লকের চাষি ইব্রাহীম খলিল সোহাগ, ছোটআজলদী ব্লকের চাষি শফিকুল ইসলাম মানিক, শ্রীরামদী ব্লকের চাষি
আলফাজ উদ্দিন মানিক, বিল্লাল হোসেন ও হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, চলতি মৌসুমে বিএডিসি বীজ আলু হিমাগার কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ৪১টাকা কেজি দরে ভিত্তি বীজ আলু সরবরাহ করে। এতে সার, ওষুধসহ সকল খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়েছে ২৪টাকা। বিএডিসি হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রতি কেজি বীজ আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৬টাকা। এতে আমাদের প্রতি একরে ৫৫-৬০হাজার টাকা লোকসান
গুনতে হবে। অথচ কৃষকদের সাথে হিমাগার কর্তৃপক্ষের চুক্তি ছিল বর্তমান বাজার মূল্য যা থাকবে তার চেয়ে ৩০-৩৫% বেশি মূল্য দেওয়া হবে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি সাধারণ আলুর মূল্য রয়েছে ১৮টাকা। উল্টো হিমাগার কর্তৃপক্ষ ওই শর্ত ভঙ্গ করে তাদের মনগড়া মূল্য আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। তারা আরও বলেন, কৃষি ব্যাংকের ঋণের মাধ্যমে হিমাগার কর্তৃপক্ষ আমাদের ওপর সার, ওষুধসহ ও ভিত্তি বীজ আলু চাপিয়ে দিয়েছে। অথচ বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। এতে প্রত্যেক কৃষক ৬০-৬৫হাজার টাকার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এসময়
বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, অনতিবিলম্বে যদি বীজ আলুর মূল্য বৃদ্ধি করা না হয়, তাহলে অচিরেই এই হিমাগারের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বীজ আলু হিমাগার পাকুন্দিয়া জোনের উপ-পরিচালক মো.হারুন অর রশীদ চাষিদের লোকসানের কথা স্বীকার করে বলেন, কৃষকদের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হয়েছে। এর তুলনায় বর্তমান রেট সংগতিপূর্ণ নয়। চুক্তিবদ্ধ বীজ আলু চাষিরা হচ্ছে কৃষি সেক্টরের পদাতিক বাহিনী। তাদের দিকে যদি আমরা উপযুক্ত নজর দিতে না পারি তাহলে কৃষি সেক্টর ভেঙ্গে পড়বে।